বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হয় ‘সত্তর দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: শিল্পরূপ ও সাংস্কৃতিক প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক ঝুনা চৌধুরী ও মোস্তফা মনন।
সেমিনারে স্বাগত আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো: নিজামুল কবীর।
যে সব চলচ্চিত্রের শিল্পরূপ যত নান্দনিক হবে সেসব চলচ্চিত্র সুধীজনের কাছে সমাদৃত হবেই। চলচ্চিত্র নির্মানের ক্ষেত্রে নির্মাতারা শিল্পরূপের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিৎ বলে মনে করেন আলোচক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সাইফুল ইসলাম।
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও শিল্প সমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বাংলাদেশের আবহমানকালের সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে সমকালে বাস্তবতাকে উপস্থাপন করে।
চলচ্চিত্র গবেষক লেখক অনুপম হায়াৎ বলেন বাংলাদেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজ, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সত্তরের দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ের চলচ্চিত্রে বিধৃত হয়েছে বাঙালির আশা আকাংখা, মুক্তিযুদ্ধ, জীবন, সমাজ ও সংস্কৃতি।
সাংবাদিক রফিকুজ্জামান বলেন, সত্তরে দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো থেকে গবেষনার জন্য নির্বাচিত ধীরে বহে মেঘনা, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, লাঠিয়াল, অবুঝ মন, নয়নমনি ও অশিক্ষিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গবেষকদ্বয় ঝুনা চৌধুরী ও মোস্তফা মনন বাছাই করেছেন।
আলোচকবৃন্দ এ চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে যে সব তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছেন তা এ গবেষনাকে সমৃদ্ধ করবে।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান।