তল্পিতল্পা গুটিয়ে সোমবার লখনউ সফরে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ৩ বছর পর বাড়ি ফিরেছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার আগে মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে উঠেছিলেন ‘দেশি গার্ল’।
হোটেলের বারান্দায় চা খেতে খেতেও স্বাদ নিচ্ছিলেন ‘বাড়ি’র। তাঁর কাছে দেশ একটা গন্ধের মতো। হাওয়ার মতো। যা এত দিন ছেড়ে ছিলেন বলেই এখন বেশি করে টান অনুভব করছেন। মুম্বইতে নিজের ফ্যাশন সংস্থার সঙ্গে মিটিং এবং অন্যান্য কাজ সেরে উত্তরপ্রদেশে উড়ে যাওয়ার সময় মন ভারাক্রান্ত নায়িকার। নেটমাধ্যমে ছবি দিয়ে লিখলেন, “বাড়ি ফেরার মতো ভাল কিছু হয় না। আবার মুম্বইয়ের পাট চুকিয়ে চলে যেতে হচ্ছে…।”
দুপুরের আগেই লখনউ পৌঁছে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। ইউনিসেফের প্রতিনিধি হয়ে নারী এবং শিশুদের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন। নাগাড়ে লড়ে চলেছেন নারী নির্যাতন, যৌন হেনস্থা এবং হিংসার বিরুদ্ধে।
প্রিয়ঙ্কা নিজের কর্মসূচির বিষয়েও জানালেন সেগুলিই। লিখলেন, “মাঠে নেমে কাজ করতে চাই এ বার। বুঝতে চাইছি উত্তরপ্রদেশের মহিলা ও শিশুরা কেন দুর্দশায়। গোটা ভারতে লিঙ্গসমতার লক্ষ্যে লড়াই চলছে। এই সমতা না পেলে সুবিধার সমবণ্টন সম্ভব নয়। মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত।” যার সুরাহা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন অভিনেত্রী।
চলতি বছরের এপ্রিলে বাড়ি আসার কথা ছিল প্রিয়ঙ্কার। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল। প্রতি রাজ্যের নিজস্ব মুখের ভাষা, লেখার ভাষা, খাবার, পোশাক, আদবকায়দা— যার অর্থ, দেশের সীমানায় এলেই একসঙ্গে বহু দেশ দেখার সাধ মেটে। মন ছুটি চাইছে আমার। কত দিনে বাড়ি ফিরে ছুটি উপভোগ করতে পারব আর ঘুরব, সেই অপেক্ষায় আছি।’’
যদিও ছুটির কথা লিখলেও আদৌ তিনি স্রেফ ছুটি কাটাতে আসেননি তা এ বার বোঝাই যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে একগাদা কর্মকাণ্ড সেরে কবে আবার আমেরিকায় ফিরবেন সে খবরও স্পষ্ট করেননি। তবে ঝটিকা সফর দেখে অনুমেয়, খুব বেশি দিন হাতে নিয়ে আসেননি নায়িকা।