ডিসেম্বরে রাজধানী ঢাকায় একাধিক জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি রয়েছে আওয়ামী লীগের। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে অথবা পরে এই কর্মসূচি গ্রহণের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ এবং ৯ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি সম্মেলনে সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান জানিয়েছেন, ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের যুব মহাসমাবেশে বেশ কয়েক লাখ যুবকের সমাবেশ ঘটানোর প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাড়া ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের আগে বড় ধরনের সমাবেশ হবে।
কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশের দিন ঢাকায় মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন জনসভায় রূপ নেবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। তিনি বলেছেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
কুমিল্লা বিএনপির গণসমাবেশের দিন নির্ধারিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, পুনর্নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর এই জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৬ নভেম্বর অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা বলেছেন, রংপুর ও বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের দিন রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগ। এখন থেকে বিএনপির প্রতিটি গণসমাবেশের দিন জনসভা করা হবে। তবে বিএনপির নির্ধারিত গণসমাবেশস্থল কিংবা সংশ্নিষ্ট জেলায় এই জনসভা করা হবে না। গণসমাবেশের নির্ধারিত দিনে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা সম্মেলনকে জনসভায় রূপ দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাঁরা বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করবেন না। আওয়ামী লীগ কখনোই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাস করে না। দলের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় সম্মেলন হচ্ছে। আর জেলা সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীর উপস্থিতি বিএনপির গণসমাবেশকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে গণসমাবেশ করবে। ওই দিন চুয়াডাঙ্গা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলন হবে। দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে জনসভা করা হবে। এরই মধ্যে সেই প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে পুরোদমে।
২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় গণসমাবেশের দিনে পিরোজপুর ও জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলনেও ব্যাপক উপস্থিতির প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় দুই সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে বিএনপি। ওই দিন সম্মেলনের মাধ্যমে রাজধানীতে শোডাউন করবে ছাত্রলীগ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার রাজধানীর বাড্ডায় সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের শান্তি মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বলেছেন, বিএনপির রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে। তাদের আর ডিসেম্বরে ছাড় দেওয়া হবে না।