বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা (বিএনপি নেতাকর্মী) এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবেন? আমাদের সোজা কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
শনিবার বিকেলে রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। ভয় না পেলে গাড়ি কেন বন্ধ করতে হয়? কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারে?
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমি নাকি চিবিয়ে খাই। আরে আপনারা তো চিবিয়ে চিবিয়ে অর্থনীতিটা খেয়ে ফেলেছেন। এখন দেশটা খেয়ে ফেলবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প করে একটা ঘর দেয়, ওখানেও চুরি করে। আমাদের এই সরকার সর্বভোগে পরিণত হয়েছে। সব খেয়ে ফেলতে চায়। আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে সব শেষ করে ফেলেছে। সব ক্ষেত্রে চুরি করেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু খেয়ে ফেলেছে এই বাকশালী সরকার। ছোটবেলায় মুনতাসীর মামুনের নাটক ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’ দেখেছিলাম। সেখানে মূল চরিত্রে যে ছিল সে শুধুই খায়। সব খাবার শেষে কাগজ খেয়েছে। দলিল-দস্তাবেজ খেয়েছে। এমনকি টেবিল চেয়ারও খেয়েছে। এই সরকারও তেমনি সব খেয়েছে।
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। তারেক জিয়াকে বিদেশ থেকে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি অন্যায়ভাবে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু।