চলমান যুদ্ধে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে ইউক্রেনে ৮২ হাজার রিজার্ভ সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া।
শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রিজার্ভ সেনাদের ডেকে পাঠানোর কর্মসূচি শেষ হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ওই বৈঠকে পুতিনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তিন লাখ সেনা সমাবেশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন কোনো পরিকল্পনা নেই।’
গত সেপ্টেম্বর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণার পর এসব সেনা পাঠানো হয়।
এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, তিন লাখ সেনা সমাবেশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে শোইগু বলেন, আপনি ৩ লাখ সেনা সমাবেশের যে কাজ দিয়েছেন তা সম্পন্ন হয়েছে। নতুন করে পদক্ষেপের আর পরিকল্পনা হয়নি। এই সময় তিনি বলেন, সংঘাতময় এলাকায় ইতোমধ্যে ৮২ হাজার সেনাকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ হাজার সেনাকে ইউনিটে মোতায়েন করা হয়েছে।
শোইগু বলেন, বাকি দুই লাখ ১৮ হাজার সেনা এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এ ছাড়া পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য যেসব রিজার্ভ সেনাকে ডাকা হয়েছে তাদের উদ্দেশে বলেন, কর্তব্যের প্রতি তাদের আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম, আমাদের দেশ রক্ষা, তাদের বাড়িঘর, পরিবার, দেশের নাগরিক ও আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য তাদের যে দৃঢ়সংকল্প এর জন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর আজ পর্যন্ত টানা ২৪৮ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে।