মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় গ্রেফতার মো. শামীমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মো. শামীমের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফউদ্দীন শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় শামীমের দায়িত্ব ছিল পাহারাদারের।
গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শামীমকে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই আসামি শাহাদাত হোসেন ও নুর উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময় শামীম ভবনের নিচে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল।
গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন নুসরাত। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন নুসরাত।
এর জেরে গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে গেলে ডেকে নিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ৮০ শতাংশ পোড়া শরীর নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচ দিন লড়ার পর মারা যান নুসরাত।
নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে নুর উদ্দিন ও শাহাদাত এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।