শিরোনামে মালালা । তাঁর লড়াই তাঁকে এনে দিয়েছে নেবেল। এবার তিনি নেমেছেন এক অন্য লড়াইয়ে। সিনেমার ভাষায় বিশ্বজয়ের দৌড়ে তিনি। তিনি লড়ছেন অস্কারের জন্য।
২০২১ সালের মার্চে অ্য়াপল টিভিতে হাতেখড়ি হয়েছিল মালালার প্রযোজনা সংস্থা ‘এক্সট্রাক্য়ারিকুলার’ প্রোডাকশনের। তারই তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে পাকিস্তানি সিনেমা ‘জয়ল্যান্ড’। ২০২২ সালে সেরা বিদেশি চলচিত্র বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছে সেই ছবি।
এই ছবিটির হাত ধরেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের জন্য প্রবেশাধিকার পায় কোনও পাকিস্তানি সিনেমা। প্রর্দশনী শেষে ওই উৎসবে যথেষ্ট সমাদরও পায় ছবিটি। এছাড়াও ‘ক্যুইয়ার পাম’ ও ‘বিশেষ জুরি‘ পুরস্কারও জিতে নিয়েছে এই সিনেমা।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যৌনতার প্রথাবদ্ধ ধারণার বিপরীতে দাঁড়িয়ে সমাজ ব্যবস্থার কথা বলে এই সিনেমা। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের সদস্যরা যেখানে পুত্রসন্তান লাভের আশা করে। সেখানে সেই পরিবারের ছোট ছেলেটি বড় হয়ে পুরুষসুলভ জীবনযাপনের পরিবর্তে এক বৃহন্নলার প্রেমে পড়েন। শুরু করে নাচ-গান-নাটক। এই ছবির মধ্য দিয়ে পরিচালক যৌনতার সামাজিক ও প্রথাগত ধারণাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছেন।
এরই মাঝে বিশ্বব্যাপী দারুণ প্রশংসিত হয়েছে ‘জয়ল্যান্ড’। সায়েম সাদিক পরিচালিত এবং অপূর্ব গুরু চরণ, সারমাদ সুলতান খুসাত ও লরেন মান প্রযোজিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন আলি জুনেজো, রাস্তি ফারুক, আলিনা খানের মতো অভিনেতারা। সিনেমা প্রসঙ্গে মালালা জানিয়েছেন, ‘আমি ভীষণভাবে গর্বিত এমন একটি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে।
এই ছবি প্রমাণ করে, পাকিস্তানি শিল্পীরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সেরাদের তালিকায় থাকতে পারে। এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যা আমাদের পরিপার্শ্বিক মানুষদের ভাবনা চিন্তা বদলাতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকের উচিত পরিবারের সদস্য, বন্ধুদের এমন দৃষ্টিতে দেখা যা তাদের মৌলিকভাবে বিচার করার ক্ষমতা দেবে। প্রতিটি মানুষ যেমন তাঁকে সেভাবেই গ্রহণ করা বার্তা দেয় এই ছবি।