বেরোচ্ছে ধোঁয়া। লেলিহান শিখা। গোলাগুলির শব্দ। নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে।
তেহরানের ইভিন কারাগারে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষ। মাহশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভের আবহে কারাগারে গোলাগুলির ঘটনায় সে দেশের পরিস্থিতি আরও জটিল হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
উত্তর তেহরানের ওই কারাগারে রাজনৈতিক বন্দি ও বিদেশিরা রয়েছেন। মাহশার মৃত্যুর পর হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ইরান। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ওই কারাগারে রাখা হয়েছে বলে খবর। এই আবহে কারাগারের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইরানের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। কারাগারে গোলাগুলি ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কে বন্দিদের পরিবার।
গত মাসে ইরানে কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন মাহশা। সে সময় পথে তাঁকে আটকায় নীতিপুলিশ। অভিযোগ, হিজাব ঠিকমতো না পরায় তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশি অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন ইরানের বহু মহিলা। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
শনিবার ইরানের রাস্তায় আবার বিক্ষোভে শামিল হন অনেকে। এর মধ্যেই কারাগারে গোলমালের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল সে দেশে।