পৃথিবীর বিশুদ্ধতম অনুভূতি ভালোবাসা। যে ভালোবাসার জন্য হাতের মুঠোয় প্রাণ নেওয়া, বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে আনা ১০৮টি নীলপদ্ম! একবার তাকে দেখতে পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে পৃথিবীসমান দূরত্ব ডিঙানোর সাহস। কিংবা তার একটি ছোট্ট আহ্বানে নষ্ট কষ্ট সব নিমেষে ঝেড়ে-মুছে শব্দের অধিক দ্রুতগতিতে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি।
আজ অক্টোবরের তৃতীয় শনিবার, সুইটেস্ট ডে। শতবর্ষ পেরোতে চলল দিবসটির বয়স। ১৯২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডের ক্যান্ডি দোকানের কর্মী হার্বার্ট বিরচ কিংস্টন এটি প্রচলন করেন। তবে এর উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
অনাথ, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের অন্তত একটি দিন আনন্দময় করে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। মূলত ১৯১৬ সালে শুরু হয়েছিল ক্যান্ডি দিবস নামে একটি দিন। তবে সেটি জনপ্রিয় হয়নি। এরপর ১৯২১ সালে কিংস্টনের সঙ্গে ১২ জন কনফেকশনার যুক্ত হয়ে শুরু করেন সুইটেস্ট ডে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯২২ সালে এটি জনপ্রিয় হয়ে যায়।
ক্যান্ডি ও চকলেটের বাণিজ্যিক প্রচারণা থেকে দিবসটি এখন রীতিমতো ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’র মতো ভালোবাসাবাসির দিন হিসেবে পালিত হয়।
প্রিয়তম মানুষটিকে নিয়ে শিশুদের মাঝে বিলাতে পারেন ক্যান্ডি, চকলেট বা দারুণ কোনো উপহার। কিংবা কিশোর কুমারের গানের মতো প্রিয় হাতটি ধরে বসে থাকুন দিনমান—এসো আজ সারা দিন/ বসে নয় থাকি পাশাপাশি/ আজ শুধু ভালোবাসাবাসি।