বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ওপারে মাইন পুঁতে রাখার বিষয়ে আমরা স্থানীয় লোকজন নিয়ে মিটিং করেছি এবং তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি যেন কেউ শূন্য রেখা অতিক্রম করে কাঁটাতারের ওপারে না যায়।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন শেষে ঘুমধুমের রেজুপাড়ার বিজিবির চৌকিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিজিবির ডিজি এসব কথা বলেন।
যদিও বিজিবির ডিজি পরিদর্শনের আগেও টেকনাফ-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মিয়ানমার সীমান্তে পাহারা জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছে। মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। তবুও সীমান্তে একটা গুলির শব্দ হলেও আমরা প্রতিবাদ লিপি পাঠাই।
বিজিবির ডিজি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে সাময়িক কিছু সমস্যা হয়েছে। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে কোনো মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে আগের তুলনায় বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করে পাহারা জোরদার করা হয়েছে।
আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেড় মাসের বেশি সময় থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু এলাকার ওপারে মর্টারশেল-গোলাগুলি চলে। ফলে এপারের সীমান্তের বসবাসকারী ১৫ হাজার মানুষ আতঙ্কে ছিল।