স্পোর্টস ডেস্ক
লিওনেল মেসি থাকবেন না আগেই জানা ছিল। রাঁসের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না নেইমারও। আক্রমণভাগে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে ছিলেন পাবলো সারাবিয়া ও কার্লোস সোলের। তবে দলের দুই সেরা তারকাকে ছাড়া প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই ভুগেছে পিএসজি। এমবাপ্পে পারেননি এককভাবে ম্যাচে পার্থক্য গড়তে।
অধিকাংশ সময় দশজন নিয়ে খেলা পিএসজি কুলিয়ে উঠতে পারেনি স্বাগতিকদের বিপক্ষে। বরং রাঁসের আক্রমণ সামাল দিয়ে ড্র আদায় করতেই ঘাম ছুটে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। টানা পাঁচ জয়ের পর ফের পয়েন্ট হারাল তারা এবং সব মিলিয়ে লিগে এটি তাদের দ্বিতীয় ড্র।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন নেইমার। এরপরও অবশ্য গোলের দেখা পায়নি ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। এর মাঝে দুর্দশা বাড়ে ৪১ মিনিটে সের্হিও রামোস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে।
সব মিলিয়ে বাজে একটি দিনই গেছে পিএসজির। গালতিয়ের বলেছেন, দুই সঙ্গী মেসি ও নেইমারকে একাদশে না পেয়ে অনেকটা ‘ অসহায়’ হয়ে পড়েছিলেন এমবাপ্পেও।
দারুণ ছন্দে আছে পিএসজি–ত্রয়ী। ম্যাচের পর ম্যাচে এই তিনজন আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এই তিনের ওপর পিএসজির নির্ভরতাও এখন অনেক বেশি।
রেসের বিপক্ষে মেসি-নেইমারের না থাকার প্রভাব নিয়ে পিএসজি কোচ গালতিয়ের বলেছেন, ‘যখন মেসি ও নেইমার খেলে না, তখন অবশ্যই আমাদের খেলার ধরন বদলে যায়। যেখানে বল হারিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে কয়েকবার ধাক্কা খেতে হতে পারে এবং এটি প্রতিপক্ষকেও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।’
ছন্দে থাকলেও মৌসুমের শুরু থেকেই পিএসজি–ত্রয়ীর মধ্যে বিরোধের খবর সামনে এসেছে। তবে মাঠে এই তিনজন একে অন্যের ওপর কতটা নির্ভরশীল, তা গত রাতে রেসের বিপক্ষে ম্যাচে স্পষ্ট হয়েছে। মাঠে থাকা এমবাপ্পেও নাকি এতিমের মতো দুই সতীর্থকে মিস করেছেন।
গালতিয়ের বলেছেন, ‘আমার কাছে মেসি ও নেইমারকে ছাড়া কিলিয়ান এমবাপ্পেকে অনেকটা এতিমের মতো মনে হয়েছে। যদিও আমি ভেবেছিলাম, সময় বাড়ার সঙ্গে এটি বদলাবে। নেইমার ম্যাচের শুরু থেকে ছিল না; কারণ, সম্প্রতি সে অনেক খেলেছে।’
নেইমার মাঠে নামার পর খেলার ধারা বদলেছে বলেও মনে করেন গালতিয়ের, ‘নেইমার মাঠে নামার পর আমরা দেখেছি, তাদের বোঝাপড়া কত ভালো। এ কারণে ১০ জন নিয়ে খেলার পরও দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের পারফরম্যান্স অনেক ভালো হয়েছে।’
৪১ মিনিটে রেফারির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন রামোস, যা ম্যাচে পিএসজিকে আরও কোণঠাসা করে দিয়েছে। তবে ম্যাচ শেষে কোচ গালতিয়েরকে নিজের পাশেই পেলেন রামোস, ‘এখানে তার (রামোসের) ভুল ছিল কি ছিল না, তা আমি জানি না। এটা সাংস্কৃতিক সমস্যা নয়, ফুটবলের ভাষাগত সমস্যা। আমি নিশ্চিত সের্হিও রেফারিকে অপমান করার জন্য কোনো কিছু বলেনি।’