The news is by your side.

বাংলাদেশ-ভুটান -নেপাল কানেক্টিভিটি: বিনিয়োগ করছে জাইকা

0 211

ভারতে আসামের নয়া ধুবড়ি থেকে মেঘালয়ের ফুলবাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। এটিই হতে যাচ্ছে ভারতের দীর্ঘতম সেতু। এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। সেতুটি নির্মাণ হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটানে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মেঘালয়ের তুরা থেকে ডালু পর্যন্ত হাইওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। মেঘালয়েই শিলং থেকে ডাউকি পর্যন্ত বিদ্যমান হাইওয়েকে দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে মেঘালয়ের কানেক্টিভিটি তৈরিতেই মহাসড়ক দুটির উন্নয়নকাজ চলছে। দুটি প্রকল্পেই অর্থায়ন করছে জাইকা।

আসামের শ্রীরামপুর থেকে ধুবড়ি পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে চলমান নির্মাণ ও উন্নয়নকাজও হচ্ছে জাইকার অর্থায়নে। এ প্রকল্পগুলোও মূলত আসাম ও মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কানেক্টিভিটি তৈরির উদ্দেশ্যেই বাস্তবায়ন হচ্ছে।

জাইকার তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ সালে সংস্থাটি প্রথম ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষায় এখানকার পরিবহন ব্যবস্থায় বিনিয়োগের অর্থনৈতিক ফলাফল ও গুরুত্ব খতিয়ে দেখা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগ নিয়ে জাইকার একটি চুক্তি সই হয়।

শুধু ভারত নয়, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিমসটেক জোটভুক্ত অন্য দেশগুলোর (বাংলাদেশ, ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড) সমৃদ্ধিতেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে অঞ্চলটি। বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছে ভারত সরকারও। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কানেক্টিভিটি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। জাইকা, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এসব বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

উত্তর-পূর্ব ভারতে জাইকার বড় বিনিয়োগের পেছনে প্রধানত অর্থনৈতিক চিন্তাই বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, এখানে প্রধানত নিজের বিনিয়োগের রিটার্ন ঠিকমতো আসছে, সেটাই জাইকার প্রধান দেখার বিষয়। তবে আমার মনে হয় না, শুধু কানেক্টিভিটির মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে উন্নত করা যাবে।

বাংলাদেশ-ভারত করিডোরের উন্নয়ন এ বিনিয়োগের অন্যতম বড় উদ্দেশ্য বলে জাইকার ভারত দপ্তরের প্রধান সাইতো মিত্সুনারির এক সাম্প্রতিক নিবন্ধে উঠে এসেছে। ওআরএফ ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে উত্তর দিকে ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে কানেক্টিভিটি তৈরির যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মধ্যকার করিডোরের উন্নয়নে এখন জোর দেয়া হচ্ছে।

অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে হলে বাংলাদেশকে শুধু উত্তর-পূর্ব নয়, গোটা ভারতের কথাই মাথায় রাখতে হবে বলে মনে করছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, জাইকা মনে করছে, কানেক্টিভিটি তৈরি হলে ব্যবসার সুযোগ বাড়বে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.