শুক্রবার সকালে প্রথমে বুবলী, ২০ মিনিট পর শাকিব খান নিজ নিজ ফেসবুক পেজে ছবিসহ তাঁদের সন্তানের খবর দিয়েছেন। ছেলের নাম শেহজাদ খান বীর। বয়স আড়াই বছর। এরপর থেকে ফেসবুকজুড়ে তোলপাড়। ছেলেসহ বুবলী ও শাকিব খানের ছবি ফেসবুকময় হয়ে পড়েছে।
বাচ্চা ও বাচ্চার মা–বাবাকে শুভকামনা জানিয়ে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম জানান, এই খবর অনেকের মতো তিনিও আগেই জানতেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই বাচ্চা হওয়ার খবরটি শুনে আসছি। বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের বিশ্বাস–অবিশ্বাসের মধ্যে ছিলাম। এখন সত্যটা প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু আরও আগেই খবরটি সুন্দর মতো প্রকাশ হলে তো কোনো দোষের ছিল না। বাচ্চা তো বাচ্চাই। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ এটি। বাচ্চার মতো এত সুন্দর, পবিত্র বিষয়ের সঙ্গে অন্য কিছুরই মেলানো যায় না। ফাইনালি জানতে পারলাম, দেখলাম। আমরা খুশি। বাচ্চাটা অনেক সুন্দর হয়েছে, কিউট হয়েছে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, শাকিব ভাইয়ের দ্বিতীয়বার ভুল করা ঠিক হয়নি। এবার শুরুতেই জানিয়ে দিলে বিষয়টি আরও দৃষ্টিনন্দন হতো।’
সন্তান বীরকে বাবা শাকিব খানের চেহারা সঙ্গে তুলনা করে ঢালিউডের এই নায়িকা আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় শাকিব ভাইয়ের প্রথম দিকের চেহারা পেয়েছে বীর। ফেসের মধ্যে সেই জিনিসটি স্পষ্ট আছে।’
এ ব্যাপারে ঢাকাই ছবির আরেক নায়িকা মাহিয়া মাহির বক্তব্য, স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে বনিবনা হয় না বা হচ্ছে না, সেটা কারও কাছে শেয়ার না করলে বিষয়টি তাঁরা ছাড়া পৃথিবীর কেউই বলতে পারেন না। এই যে বাচ্চাটার বয়স আড়াই বছর, এত দিন পর খবরটি প্রকাশিত হলো, কেন এত দেরি হলো, তাঁরা দুজন ছাড়া হয়তো কেউই জানেন না।
মাহি বলেন, ‘জন্মের পর থেকে বাচ্চার প্রতিটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আড়াই বছর বাচ্চাটার জীবন আরও সুন্দর হতে পারত। এই আড়াই বছর অনেক কিছুরই মেমোরিজ পেল না বাচ্চাটা। যখন থেকেই হোক, যত দেরি করেই হোক, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সবার সামনে এসেছে। তাঁদের তিনজনের জন্য শুভকামনা। তাঁদের জীবনটা সুন্দর হোক।’
তবে ঢালিউডের আরেক অভিনেত্রী তমা মির্জা বলেন, ‘আমি তো জয়কে দেখে আসছি। অপু-শাকিবের বিবাহ সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু এখন এসে আবার হুট করে আড়াই বছর আগের অন্য আরেকটি ঘটনা জেনে অবাকই হলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে খবরটি প্রকাশের অনেক সময় নেওয়া হয়ে গেছে। আরও আগেই জিনিসটি ক্লিয়ার হওয়া উচিত ছিল। তাহলে জিনিসটা অনেক সুন্দর হতে পারত।’
এসব বিষয় সন্তানের ওপর প্রভাব পড়ার কথা উল্লেখ করে তমা আরও বলেন, ‘বড় হলে তো সন্তানেরা এই জিনিসগুলো দেখবে, জানবে। তখন এসব বিষয় মানসিক প্রভাব ফেলবে সন্তানদের ওপর।
আমরা সহশিল্পীরা আগামী দিনে যেন এসব বিষয়ে আর ভুল না করি। কারণ, যখনকার বিষয়, তখনই প্রকাশ্যে আনা উচিত। কমপক্ষে বাচ্চাদের ক্যারিয়ারে কথা বিবেচনা করে তা করা উচিত সবার। জয় ও বীর দুজনের জন্য শুভকামনা আমার।’