তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা আখুন্দজাদা আফগানিস্তানের নতুন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে কট্টরপন্থী নেতা হাবিবুল্লাহ আঘাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। হাবিবুল্লাহ তার খুব বিশ্বস্ত লোক এবং নারীশিক্ষার ব্যাপারে বেশ কঠোর। মঙ্গলবার সরকারি মুখপাত্রের এক ঘোষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর নিউ আরবের।
তালেবান সরকারের মন্ত্রিপরিষদে রদবদলের অংশ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ৬৮ বছর বয়সী হাবিবুল্লাহ। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবানের প্রথম শাসনামলে একজন বিচারক ছিলেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় দেশটিতে নারীশিক্ষা আরো দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে ব্যক্তিগত মন্তব্য করতে তিনি অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন যে তিনি এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি।
বুধবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা নিজ থেকে কোনো পরিকল্পনা করতে পারি না। আমরা এটি করি না। সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী আমি কাজ করব। ’
এ নিয়োগের ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক নিশাঙ্ক মোতওয়ানি বলেছেন, ‘হাবিবুল্লাহর নিয়োগ ইঙ্গিত করছে যারা নারীশিক্ষার বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের ওপরের দিকের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হচ্ছে। ’
আফগানিস্তানের বিদায়ি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল্লাহ মুনির দায়িত্বে থাকাকালীন গত মার্চ মাসে স্কুল খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন তাকে অন্য পদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ওই সময় ঘোষণা দেওয়া হলেও মেয়েদের স্কুল খোলার বিষয়টি আটকে দিয়েছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা আখুন্দজাদা।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেছে, তালেবান সরকার যদি তাদের স্বীকৃতি চায় তাহলে অবশ্যই মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
অবশ্য তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নারীশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘অস্থায়ী’। পরবর্তী সময়ে এটি তুলে দেওয়া হবে।
মেয়েদের জন্য স্কুল বন্ধ করা ছাড়াও তালেবানরা নারীদের অনেক সরকারি চাকরি থেকে নিষেধ করেছে এবং তাদের সব সময় বোরকা দিয়ে ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।