গোমাংস নিয়ে পুরনো একটি মন্তব্যের জেরে মধ্যপ্রদেশে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিনেতা রণবীর কপূর। তাঁকে ঢুকতেই দেওয়া হল না উজ্জয়িনীর শিব মন্দিরে।
আগামী শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে রণবীর এবং আলিয়া ভট্ট অভিনীত নতুন ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ১: শিবা’। তার আগে মঙ্গলবার উজ্জয়িনীর শিব মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে পৌঁছন রণলিয়া। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়। মন্দিরের কাছে পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।
মঙ্গলবার মুম্বই থেকে রওনা হয়ে উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের সামনে পৌঁছনোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানানো হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। কিন্তু মন্দিরে ঢুকতে যেতেই বাধা দেন আগে থেকেই জড়ো হয়ে থাকা হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভকারীরা। ১১ বছর আগে গোমাংস নিয়ে করা রণবীরের একটি মন্তব্যকে তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
২০১১ সালে ‘রকস্টার’ ছবির প্রোমোশনের সময় একটি সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছিলেন, “আমার পরিবার পেশোয়ারের। ফলে পোশায়ারি খাবারের সঙ্গে পরিচিত আমি। মটন, পায়া এবং গোমাংসও ভালবাসি। গোমাংসের বড় ভক্ত আমি।” তাঁর নতুন ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ১: শিবা’র মুক্তির আগেই রণবীরের সেই মন্তব্য নেটমাধ্যমে ফের ভাইরাল হয়। তাঁর ছবি বয়কট করারও আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
রণবীর-আলিয়ারা মহাকালেশ্বর মন্দিরে আসার আগেই বজরং দলের স্থানীয় নেতা অঙ্কিত জিন্দল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “রণবীর-আলিয়াকে আমরা মন্দিরে ঢুকতে দেব না। রণবীর বলেছিলেন, গোমাংস খাওয়া ভাল। যাঁরা এই ধরনের চিন্তাভাবনা করেন, তাঁদের মহাকালেশ্বর মন্দিরে কোনও ভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
মঙ্গলবার আলিয়া, রণবীর, অয়ন মন্দিরে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই বজরং দলের কর্মী-সমর্থকরা কালো পতাকা দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে উজ্জয়িনীর পুলিশকর্তা ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “রণবীর, আলিয়ারা আসবেন বলে আগে থেকেই ভিআইপি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল মহাকালেশ্বর মন্দিরে। রণবীর কপূররা মন্দিরে পৌঁছতেই বেশ কিছু লোক সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। যদিও পরিস্থিতি সামলে নেওয়া হয়েছিল।”
শেষ পর্যন্ত রণবীর মন্দিরে ঢোকেননি। ঢোকেননি আলিয়াও। একমাত্র অয়নই মন্দিরে ঢুকে পুজো দেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি সেই ছবি শেয়ারও করেছেন।