নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত এই রায় দিয়েছেন। অং সান সু চির আইনজীবীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চি এখন ১১টি মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ বাকি রয়েছে৷ তবে সু চি এখন পর্যন্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সমস্ত অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্রায় ২০০ বছরের জেল হতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বন্দি রয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী সু চি। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম আকার ধারণ করতে শুরু করে।
সু চির বিচারে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তার আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
জনসাধারণ ও মিডিয়ার আদালতের এই শুনানিতে অংশগ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়াও সামরিক বাহিনী তার আইনজীবীদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সু চির সমর্থক গোষ্ঠী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তার সম্মানহানির চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সু চির আইনজীবীরা বলেছেন, নতুন সাজাটিতে কঠোর শ্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৭৬ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী তার বেশিরভাগ সময় মিয়ানমারের রাজধানীতে গৃহবন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন।
আদালত তাকে ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। নির্বাচনটি তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) অপ্রতিরোধ্যভাবে জিতেছিল।
ভোটে ব্যাপক ভোটার জালিয়াতির অভিযোগ করার পর দেশটির সেনাবাহিনী গত বছর একটি অভ্যুত্থান শুরু করেছিল। কিন্তু স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেন, ভোটটি জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধি ছিল।