বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হতে পারে। এ বিষয়ে হিসাব-নিকাশ চলছে।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের অ্যাডভান্সড আয় করের ব্যাপারে তেল আমদানির সময় কিছু সুবিধা পাওয়া যেত। সেই সুবিধার কারণে আমরা চিন্তা করছি যে, হয়তো তেলের মূল্য কিছুটা সমন্বয় করতে পারব। সে বিষয়ে এখনো হিসাবটা যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি এখানে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যেহেতু ডিউটির ব্যাপারে কিছুটা রিডিউস করেছে, সেটা হয়তো কিছুটা আমাদের জন্য… তেলের মার্কেট আবার বেড়ে গেছে। এখন ১৫০-এর ঊর্ধ্বে চলে গেছে, কিছুদিন আগে যেটা ১৩০ ছিল। এখানে এই অবস্থায় কতটা সমন্বয় করতে পারবো… কারণ এখানে ভর্তুকির বড় একটা অংশ যোগ হবে। ডিজেল যখন ১১৪ ছিল তখন ৮ টাকার ওপর ভর্তুকি ছিল। এখন হয়তো সেই জায়গাটা আরও বাড়বে। কিন্তু তারপরও এটা রিডিউস করার পর কতটা অ্যাডজাস্ট হবে, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়তো আজ-কালকের মধ্যে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
রোববার জ্বালানি সংকট কাটাতে কমানো হয়েছে ডিজেলের আমদানি খরচ। ডিজেলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। রাতে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি মাসের ৫ তারিখ রাতে হঠাৎ ঘোষণায় বাড়ে জ্বালানি তেলের দাম। লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়ে বাজারে। মুহূর্তেই হুহু করে বাড়তে থাকে সব পণ্যের দাম। জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি আর লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির চাপে সাধারণ মানুষের দিশেহারা অবস্থা। ঝড় ওঠে আলোচনা-সমালোচনার।
প্রস্তাব আসে শুল্ক কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো যায় কিনা। অবশেষে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এনবিআর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিজেলের আগাম কর অব্যাহতি ও শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজেল আমদানিতে খরচ কমবে সরকারের।