কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা এক পর্যটককে ছুরিকাঘাত করে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার ছিনতাইকারীকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়াও ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত সুপার রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মুহুরিপাড়ার মোঃ ছৈয়দ করিমের ছেলে মোঃ ইয়াছিন (২১), শহরতলীর লারপাড়ার আবদুশ শুক্করের ছেলে রুবেল (২০), রামু পানের ছরা মৌলভী পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম প্রকাশ সাগর (২০)।
শুক্রবার দিবাগত রাতে পূর্ব কলাতলি চন্দ্রিমা মাঠ এলাকা থেকে ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ২৩ আগস্ট ঘটনার দিনই ইফতেখার হোসেন নাবিল (২৩) নামক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সে শহরের তারাবনিয়া ছড়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বর্তমানে সে কারান্তরীন।
পর্যটক সুমন জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজারে এসে গত ২৩ আগস্ট ভোরে ঘুরতে বের হন। এ সময় তিনি সুগন্ধা পয়েন্টের হান্ডি রেস্টুরেন্টের সামনে সাতজনের একদল ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে তার সঙ্গে থাকা ডিএসএলআর ক্যামেরাটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। ছুরিকাঘাতে আহত ওই পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম আরও জানান, ছিনতাইকালে ছিনতাইকারীরা ঘটনাস্থলে তাদের একটি মুঠোফোন ফেলে যান। ছিনতাইকারীদের ফেলে যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে ইফতেখার হোসেন নাবিলকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তার দেয়া তথ্যমতে ও উদ্ধারকৃত মোবাইলের সূত্র ধরে ছিনতাইচক্রের ৩ সদস্য মোঃ ইয়াসিন, মোঃ রুবেল ও মোঃ ইব্রাহিম ওরফে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেলের দেখানো জায়গা হতে ছিনতাই হওয়া ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়েছে।