সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। এক সপ্তাহে ডজনে ডিমের দাম কমেছে আরও ৫ টাকা। এর মাধ্যমে দুই সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে ৪০ টাকা কমলো। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা। খোলা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায় এবং লাল চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম। আজ এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। যা, গত সপ্তাহে ছিল ৬৮০ টাকা। অন্যদিকে ২০ টাকা বেড়ে বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচ বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। শসা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।
এইসব বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। ৮০ টাকা দাম কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে কক ২৮০ টাকা ও প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
বাজারে আবার বেড়েছে খোলা আটার দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায়। গত সপ্তাহে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটার এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা আগে বিক্রি হত ১১০ টাকায়।
বাজারে ৭ টাকা বাড়ানোর পর নতুন দামের ভোজ্যতেল না আশায় আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।
মালিবাগ বাজারে মাছ কিনতে আসা জলিল বলেন, মাংসের যে দাম তাতে খাওয়ার উপায় নেই। মাছের দামেও একই অবস্থা। তেলাপিয়া, পাঙাসের কেজিও দুইশ টাকা বিক্রি হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম এখন আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে।