The news is by your side.

কুশিয়ারার পানি বণ্টনে এমওইউ চূড়ান্ত, তিস্তায় ফের আশ্বাস

0 167

কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের লক্ষ্যে হতে চলা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ও

ভারত। পাশাপাশি বহুল আলোচিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি শিগগিরই শেষ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে

আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের পানি সম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হয়।

দীর্ঘ দিনের ব্যবধানের পর আগামী মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে বাংলাদেশ-ভারত

জেআরসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন। মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও

সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন জলসম্পদ সচিব পঙ্কজ

কুমার।

দিল্লির সুষমা স্বরাজ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন চুক্তির খসড়া কাঠামো প্রস্তুতির জন্য আরও কিছু

অভিন্ন নদীর ডেটা ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছেন।

 

উভয় পক্ষই গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, ১৯৯৬ এর বিধানের অধীনে বাংলাদেশের প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য

সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীর যৌথ প্রবাহ থেকে উভয় দেশ যাতে পানি নিতে পারে, সেজন্য

দ্রুত সময়ে এমওইউ স্বাক্ষরে ভারতকে সহযোগিতার অনুরোধ করে বাংলাদেশ। ভারত নিশ্চিত করেছে, এটা তাদের সক্রিয়

বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকা এ

চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার অনুরোধ বাংলাদেশ আবারও জানিয়েছে বৈঠকে।

অন্যদিকে ভারত এ চুক্তি শেষ করতে ‘সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার

নিশ্চিতের উপায় বের করতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।

ভারতীয় হাই কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, যৌথ নদীগুলোর পানিবণ্টনের আলোচনার পাশাপাশি বন্যা সম্পর্কিত তথ্য

বিনিময়, নদী দূষণ রোধ ও নদীতীর রক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনের সমঝোতা স্মারকটি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.