ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ)। আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তাকসিমের ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব ও লেনদেনের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জমা ও উত্তোলনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
মানিলন্ডারিং প্রতিরাধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী, ২০১৫) এর ২৩ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন-বোনাস, টিএডিএসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট। প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওই সব তথ্য আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) অর্ডার লঙ্ঘন করে ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গত মাসে ওই রিট করেন। প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পানির দাম ও এমডির বেতন’ শিরোনামে প্রতিবেদন এবং “‘ভিক্ষায় চলা” ওয়াসার এমডির বেতন কেন সোয়া ছয় লাখ টাকা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ রিটে সংযুক্ত করা হয়।
গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে সংস্থার এমডি তাকসিম এ খানের বেতনও।
সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয়েছে পৌনে দুই লাখ টাকা। এই বৃদ্ধির পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তাঁর মাসিক বেতন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। এ হিসাবে গত ১২ বছরে তাকসিম এ খানের মাসিক বেতন বেড়েছে ৪২১ শতাংশ।