কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন চাঁন্দেরপাড়া এলাকার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষিকাকে গণধর্ষণ মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ ।
১৯ আগস্ট কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন চাঁন্দেরপাড়া এলাকায় নির্মানাধীন ৫ তলা ভবনের নিচ তলার ঘরে আটকে রেখে একজন স্কুল শিক্ষিকাকে কয়েকজন মিলে গণধর্ষণ করে।
১৮ আগস্ট ২০২২ রাতে পিএমখালীতে অবস্থিত একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ভিকটিমের সাথে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বেদার মিয়ার (২৮) পরিচয় হয়।
বেদার মিয়া আরো তিন সহযোগীসহ ভিকটিমকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউপিস্থ চাঁন্দেরপাড়া এলাকার একটি নির্মানাধীন ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে ভিকটিমের অসহায়ত্ব ও সরলতার সুযোগ নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
২৩ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
র্যাব গণধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের নিমিত্তে ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
২৩ আগস্ট রাতের মধ্যেই উক্ত গণধর্ষণের সাথে জড়িত বেদার মিয়া (২৮), পিতা-হাবিবুর রহমান, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-ছনখোলা ইউনুছঘোনা, ইউপি-পিএমখালী, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার ও মোস্তাক মিয়া (২৪), পিতা-দিল মোহাম্মদ, মাতা-জাহেদা বেগম, সাং-সিকদারবাড়ী, উত্তর পরানিয়াপাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ড, ইউপি-পিএমখালী, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার এবং মোঃ বেলাল উদ্দিন (২২), পিতা-মৃত রশিদ আহমেদ, মাতা-আলমআরা বেগম, সাং-খুরুলিয়া, ০৬ নং ওয়ার্ড, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার। এই তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলা মোতাবেক কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাব-১৫।