পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, আমি তার ধারে কাছেও নেই। শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে— ভারতে গিয়ে এমন কোনও কথা আমি বলিনি। এটি ডাহা মিথ্যা। নির্বাচন নিয়েও কোনো কথা বলিনি।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন দাবি করেন। এর আগে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে ভারতে গিয়ে কথা বলেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার ধারেকাছেও আমি নেই।’
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন, তোমাদের সরকারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে আমাদের এখানে সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। আমি দিল্লিতে মিটিং করার সময় বলেছি, তোমাদের একজন মুখ্যমন্ত্রী এসব কথা আমাকে বলেছে। তখন আমি বলেছি, দুই দেশেরই উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা প্রয়োজন আর সেই স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। খোদ আওয়ামী লীগও এ বক্তব্যে বিব্রত। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তা দেশের জন্য অসম্মানজনক।