বিচ্ছেদের পর হৃতিকের পাশে দাঁড়ান অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা, থাকতেন একসঙ্গে! হৃতিক রোশন । ২০০০ সালে ‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করে প্রচারে চলে আসেন তিনি।
কেরিয়ারের শুরুতেই নিজের দীর্ঘকালীন প্রেমিকা সুজ়ান খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন হৃতিক। দুই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সুজান। বলিপাড়ার দম্পতিদের মধ্যে হৃতিক এবং সুজানের জুটি ছিল সকলের প্রিয়। কিন্তু বিয়ের পর ১৪ বছর এক ছাদের তলায় কাটানোর পর তাঁদের বিচ্ছেদের খবর বলিপাড়ায় ঝড় তোলে।
২০১৪ সালে হৃতিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সুজানের। সেই সময় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন অভিনেতা। বিচ্ছেদের কিছু দিনের মধ্যেই এক দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পান তিনি।
অধিকাংশ সময় ঘরবন্দি হয়ে কাটাতেন হৃতিক। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই বাড়িতে দেখা করতে আসতেন অভিষেক বচ্চন।
অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রাকেশের বন্ধুত্ব বহু দিনের। সেই সূত্রেই হৃতিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল অভিষেক এবং অমিতাভ-কন্যা শ্বেতারও। হৃতিকের জীবনের কঠিন সময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অভিষেক এবং শ্বেতা।
শুরুর দিকে অভিষেক এবং শ্বেতা দু’জনেই হৃতিকের বাড়িতে গিয়ে অনেকটা সময় কাটাতে পারলেও পরে কাজের চাপে আর হৃতিকের বাড়ি যেতে পারতেন না অভিষেক। শ্বেতা একা একা গিয়েই ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে গিয়ে সময় কাটিয়ে আসতেন।
সেই সময় শ্বেতাও পারিবারিক সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। বলিপা়ড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, সেই সময়ে তাঁর স্বামী নিখিল নন্দের সঙ্গে নিয়মিত অশান্তি হত শ্বেতার। তাই দিল্লির শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মুম্বইয়ে নিজের বাবা-মায়ের কাছে চলে গিয়েছিলেন শ্বেতা।
হৃতিকের সঙ্গে সময় কাটানোর ফলে নিজের দুঃখ-কষ্টও ভুলে ছিলেন শ্বেতা। কানাঘুষো শোনা যায়, সুজানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শ্বেতার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, হৃতিকের বাড়িতে তখন নাকি দিনের পর দিন সময় কাটাতেন শ্বেতা। বচ্চন পরিবারের সকলে এই বিষয়ে নাকি অবগতও ছিলেন। হৃতিকের সঙ্গে মেলামেশার ফলে শ্বেতার মনও ভাল ছিল বলে খানিকটা চিন্তামুক্ত ছিলেন বচ্চন পরিবারের সদস্যরা।
কিন্তু শ্বেতার সঙ্গে হৃতিকের সম্পর্কের সুতো বোনা শুরু হতে না হতেই ঝামেলা শুরু হয়। সেই সময় বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত দাবি করেন, ‘কৃষ ৩’ ছবির শুটিং চলার সময় হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।
তার পর জনসমক্ষে একে অপরকে কটাক্ষ করা শুরু করেন হৃতিক এবং কঙ্গনা। পরস্পরের এই কাদা ছোড়াছুড়ির সময় হৃতিকের কাছ থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন শ্বেতা। ধীরে ধীরে অভিনেতার সঙ্গে মেলামেশা অনেকটাই কমিয়ে দেন শ্বেতা।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, কঙ্গনার সঙ্গে হৃতিকের সম্পর্কের কথা জানতে পারার পর শ্বেতা দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন। কিছু দিন পর আবার দিল্লি ফিরে যান তিনি। নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায় শ্বেতার।
হৃতিক যখন বিবাহিত ছিলেন, তখন শ্বেতার সঙ্গে অভিনেতার মেলামেশা পছন্দ করতেন না সুজ়ান। এমনকি, বিচ্ছেদের পরেও শ্বেতার সঙ্গে হৃতিকের বন্ধুত্বের কথা শুনে নাকি রেগে গিয়েছিলেন সুজ়ান।