বলিউডে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাইজ জিরো হতে হবে, এমন মতবাদকে অস্বীকার করলেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমা কোরেশি। তাঁর মতে, ‘জিরো সাইজ’ কোনো অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের মানদন্ড হতে পারে না।
সাম্প্রতিককালে বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘সাইজ একজন অভিনেত্রীর জন্য কখনোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। একেবারেই না! এই ফিল্ম, আমাদের ক্যারিয়ার সবকিছুই নির্ভর করছে আপনার পরিশ্রমের উপরে।
আপনার প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখে আপনার সাফল্যে। আপনি যদি হিন্দি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হতে চান তবে সাইজ জিরো হওয়ার চেয়েও আরো অনেক জরুরি বিষয় আছে। ’
অভিনেত্রী বলেন, ‘সাইজ জিরো বলতে ‘ইউএস সাইজ’ চার্টের আকার বোঝায় যা অন্যান্য দেশের হিসেবে অতিরিক্ত ছোট। এটি সাধারণত পোশাক সহ ২৩ ইঞ্চি কোমরের একজন নারীকে বোঝায়। তবে শুধু পশ্চিমে নয়, ভারতেও মূলধারার নারী মডেলদের জন্য সাইজ জিরোকে দীর্ঘদিন ধরে একটি ‘মানদণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০০০ এর দশকে কারিনা কাপুর নিজের ওজন কমান এবং ২০০৮ সালের তাঁর সিনেমা ‘তাশান’-এর জন্য নিজেকে সাইজ জিরোতে নিয়ে আসেন। তখন থেকেই এই শব্দটি ভারতেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘সাইজ জিরো’ হওয়া বা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ফোকাস করে ক্যারিয়ার গড়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছেন কিছু অভিনেত্রী। হুমা, বিদ্যা বালান এবং সোনাক্ষী সিনহার মতো অনেক নারী অভিনেত্রী ক্যামেরায় একটি নির্দিষ্ট বিষয় মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অভিনেত্রীদের ‘সাইজ জিরো’র ঘোর থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, নিজেদের প্রতিভা আর পরিশ্রমের ফলেই বলিউডে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।
হুমা কোরেশি অভিনীত ‘ডাবল এক্সএল’ আগামী ৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। মুদাসসার আজিজ রচিত এবং সত্রম রামানি পরিচালিত সিনেমাটি নারীদের ওজন ও আত্মবিশ্বাস এবং প্রতিকূলতার সাথে লড়াই নিয়ে ভিন্ন ধাঁচের এক গল্প তুলে ধরেছে। সমাজে বসবাসরত দুজন স্বাস্থ্যবান নারীর দুঃসাহসিক কাজ নিয়ে নির্মিত হয়েছে এটি। হুমার সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা ও ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান।