কানসৈকতে জীবনে একবারই পা রেখেছিলেন মেরিল স্ট্রিপ। ১৯৮৯ সালে উৎসবটির ৪২তম আসরে ‘এভিল অ্যাঞ্জেলস’ চলচ্চিত্রের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন তিনি। এতে নিজের শিশুসন্তান হত্যার জন্য অভিযুক্ত মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। একই কাজের জন্য অস্কারে সেরা অভিনেত্রী বিভাগের মনোনয়ন জোটে তার কপালে।
৩৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো কান উৎসবে হাজির হচ্ছেন তিনবার অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল কানের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে আগামী ১৪ মে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপাম প্রাপ্তির খবর জেনে আমি অত্যন্ত সম্মানিত। কানে পুরস্কার পাওয়া যেকোনও চলচ্চিত্র শিল্পীর কাছেই কৃতিত্বের। যারা আগে এই পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তাদের কাতারে দাঁড়াতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে ফ্রান্সে আসার অপেক্ষায় আছি!’
কানের সভাপতি ইরিস নোব্লোক ও উৎসব পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমোঁ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সবার ভেতরে মেরিল স্ট্রিপের কিছু না কিছু আছে! প্রায় ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনেক মাস্টারপিস কাজ করেছেন তিনি। মেরিল স্ট্রিপ আমাদের যৌথ কল্পনার অংশ এবং সিনেমার প্রতি আমাদের ভাগ করা ভালোবাসা।
কানে এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান বিচারক থাকছেন গ্রেটা। উদ্বোধনী মঞ্চে এই দুই খ্যাতিমান নারীকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
নাটক নিয়ে পড়াশোনা ও নিউইয়র্ক সিটি মঞ্চে সাফল্য পাওয়ার পর ১৯৭৮ সালে ‘দ্য ডিয়ার হান্টার’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন মেরিল স্ট্রিপ। ‘ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার’, “সোফি’স চয়েস” ও ‘দ্য আয়রন লেডি’র জন্য অস্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়া রেকর্ডসংখ্যক ২১টি মনোনয়ন পেয়েছেন মেরিল স্ট্রিপ।
মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত বিখ্যাত ছবির তালিকায় আরও আছে ‘আউট অব আফ্রিকা’, ‘দ্য ব্রিজেস অব ম্যাডিসন কাউন্টি’, ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’, ‘মামা মিয়া!’, ‘পোস্টকার্ডস ফ্রম দ্য এজ’, ‘ডেথ বিকামস হার’, ‘দ্য আওয়ার্স’, ‘দ্য লাস্ট শো’, ‘ফ্লোরেন্স ফস্টার জেনকিন্স’, ‘জুলি অ্যান্ড জুলিয়া’, ‘লায়নস ফর ল্যাম্বস’, ‘পেন্টাগন পেপারস’, “ডো’ন্ট লুক আপ” ইত্যাদি।