মিয়ানমারে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ১৮০ জন বিদেশিসহ মোট ৫ হাজার ৮৬৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে দেশটির সামরিক বাহিনী। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। এরপর গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকে সহিংসভাবে দমন করতে গিয়ে দেশব্যাপী সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম হয়। তখন থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা চলছে।
জান্তা সরকার এই বছর নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছে। তবে বিরোধী দলগুলো এই পরিকল্পনাকে প্রতারণা বলে ব্যাপকভাবে নিন্দা প্রকাশ করেছে।
সামরিক জান্তার হাতে বন্দিদের মধ্যে দেশটির সাবেক নেত্রী নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিও রয়েছেন।
৭৯ বছর বয়সী এই নেত্রী নির্বাচনে জালিয়াতি থেকে শুরু করে দুর্নীতির দায়ে ১৪টি ফৌজদারি অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এদিকে দেশটিতে অস্থিরতার কারণে বৈশ্বিক অপরাধের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে যুদ্ধকবলিত মিয়ানমার। প্রকাশ্যে চলছে আফিম বেচাকেনা, বনাঞ্চলে মাদকের ল্যাব থেকে শুরু করে মানব পাচার, অনলাইন প্রতারণাও এসেছে বড় পরিসরে আলোচনায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৪ বছর ধরে চলা সংঘাতে বিধ্বস্ত মিয়ানমার। জান্তা ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে অনুপস্থিত আইনের শাসন। এই সুযোগে দেশটি এখন বৈশ্বিক অপরাধের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।