৬ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান থেকে শেখ হাসিনাকে বহনকারি বিমানটি ওয়াশিংটন ডিসিতে ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।
ভিআইপি লাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প পরিচালক ড. আহমেদ কায়কাউস ও বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা এলেন যুক্তরাষ্ট্রে। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও এসেছেন এবারের সফরসঙ্গি হয়ে।
শনিবার বিকেলে আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শেখ হাসিনার সঙ্গে হোটেল সুইটে সাক্ষাতের মাধ্যমে এই সফরের আনুষ্ঠনিকতা শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনও এসেছেন জাপান থেকে। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে এসে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন তিনি। সেই সময় ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবার জাপান জয় করে বিশ্বব্যাংকে এলেন। বাংলাদেশের মানুষের সামগ্রিক কল্যাণের পরিপূরক বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে জাপানে। আশা করছি বিশ্বব্যাংকের সাথেও যুগান্তকারি কিছু কথাবার্তা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্যে অবশ্যই সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে যে, আমরা শেখ হাসিনার মত একজন ‘ভিশনারী নেতা’ পেয়েছি। শেখ হাসিনা তিনি শুধু স্বপ্ন দেখান না, তা বাস্তবায়িত করতেও সিদ্ধহস্ত।
শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও জড়ো হয়েছিলেন এয়ারপোর্টে। বিশ্বব্যাংকে পহেলা মে সকাল ৯টায় প্রেসিডেন্ট এইচ ই ডেভিড ম্যালপাসের সাথে যৌথভাবে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হবে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘রিফ্লেকশন অন ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ’ উদযাপনের কার্যক্রম। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংক সদর দফতরে। দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলাকালে বাইরে ‘জয়-বাংলা’ সমাবেশ করবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
সারা আমেরিকা থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুনসহ ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হয়েছেন। পহেলা মে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, বস্টন, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, ফ্লোরিডা, টেক্সাস থেকে বাসের বহর আসবে ওয়াশিংটন ডিসিতে। এর বিপরীতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও সেখানে বিক্ষোভ করবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। উভয় কর্মসূচি ঘিরে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে কমিউনিটিতে। তবে উভয় পক্ষই নিরাপদ দূরত্বে নিজ নিজ কর্মসূচি সফল করার ঘোষণা দিয়েছেন।