বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তে সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজারে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ৫৯ হাজার ১৭ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১২৬ জনের।
বিশ্বে একক দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭০ হাজার ১৬৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৭৬ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে রোববার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যঅ ২ লাখ ৭৪ হাজার ২১৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৫৮ জনের। এরপরই রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৪০ জনের।
মৃত্যুর দিক থেকে ইতালির পরই চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে লাতিন আমেরিকা দেশ ব্রাজিল। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪০ জন, যা আক্রান্তের বিচারে বিশ্বে দ্বিতীয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৮৩৪ জনের।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়া দেশের মধ্যে রয়েছে ইউরোপের আরও দুই দেশ- ফ্রান্স ও স্পেনও। ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭৭৪ জন। আর স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১২৫ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৮টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে আরও ২৮ জনের। সবমিলিয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে ৪৪ হাজার ৬০৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৬১০ জনের। আর সুস্থা হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯ হাজার ৩৭৫ জন।