টানা ৪৮ দিন যুদ্ধ শেষে গত ২৪ নভেম্বর থেকে চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। পরে তা ৭ দিনে গড়ায়। যুদ্ধবিরতি শেষে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারো হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী ।
শুক্রবার সকালে হামাসের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করে। ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জন মারা গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহসহ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও কামান হামলা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, তাদের যুদ্ধবিমান গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শিবিরের ওপরে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
আল-অ্যারাবিয়ার একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপের দক্ষিণে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকা এবং গাজা শহরের একটি বাড়িও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আল-অ্যারাবিয়াকে জানিয়েছে, খান ইউনিসের আবাসান শহরেও বোমা হামলা হয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত এলাকাগুলোতে আশ্রয় চেয়েছে, যেগুলো দক্ষিণে অবস্থিত।
যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজাবাসীদের গাজার উত্তর অংশে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দেয় বলে জানা গেছে।
আইডিএফ-এর অভিযোগ, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার আগে জিম্মি হস্তান্তরের তালিকা সরবরাহ না করে হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেটও নিক্ষেপ করেছে। ফলে আবারো গাজায় হামলা জোরদার করছে ইসরায়েলি বাহিনী। সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দি এবং ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পায়।
এ ছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তাও প্রবেশের অনুমতি দেওযা হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল বলেছিল, তারা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সময়সীমার কয়েক মিনিট আগে গাজার নিকটবর্তী ইসরায়েলি এলাকায় রকেটের সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি এ বিষয়ে।