গত মাসে অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের ভুল ও অসংগতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কিছু পরীক্ষার্থী। তারা এই ভুল পর্যালোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কাছে। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ক্যাডার এবং বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর একাংশ পিএসসির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। তবে পিএসসি বলছে, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কিছু প্রশ্ন ভুল ও উত্তর না থাকা এবং দ্বৈত উত্তর থাকায় পরীক্ষার হলে তাদের অনেক চাপে পড়তে হয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে এ রকম ১০টি প্রশ্নে ভুল দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেট-৪ (কপোতাক্ষ) এ। এর মধ্যে গণিতে ৩৯, ৫৮ ও ৬০ নম্বর প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই এবং ইংরেজির ১৩৫, ১৫৩ ও ১৫৪ নম্বর প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর নেই, তা ছাড়া ইংরেজির ১৩১ ও ১৪৯ নম্বর এবং বাংলার ১৭৯ নম্বর প্রশ্নের দ্বৈত উত্তর আছে। আবার, বাংলার ১৮১ নম্বর প্রশ্নের অপশনের বানান ভুল। তাই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) যথাযথ ব্যক্তিবর্গ উল্লিখিত ১০টি প্রশ্নসহ পুরো প্রশ্নের ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন ও উত্তর পুনরায় যাচাই করে দেখলে এবং এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিলে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন ভুলের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত হবে।
যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভুল ছিল, সেটা তাদের একদিকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে যথেষ্ট সময়ের অপচয় করেছে, যার কারণে তারা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে যাদের এটাই শেষ বিসিএস, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই অন্তত তাদের কথা বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন শিমুল সরকার তপু বলেন, পরীক্ষার হলে আসলে ভুল প্রশ্ন বোঝা যায় না। কিন্তু, ভুল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রচুর সময় নষ্ট হয় এবং মানসিকভাবে চাপ তৈরি হয়। যেটা পরীক্ষার হলে বাজে ইফেক্ট ফেলে। যে কারণে আমাদের দাবি, পিএসসি ভুল প্রশ্নগুলোতে সবাইকে নাম্বার দেওয়া এবং অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে প্রিলিতে উত্তীর্ণ করা।