ভারত জোড়ো যাত্রার ৩৫০০ কিমি পথ শেষ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশবাসীকে চিঠি লিখলেন তিনি। চিঠিতে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট থেকে রাস্তা পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব। এই ভারত জোড়ো যাত্রা শিখিয়েছে- আমাকে দুর্বলতর শ্রেণির জন্য ঢাল হিসেবে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের একটাই লক্ষ্য হবে গরিবদের জন্য আমি ঢাল হিসেবে থাকব। যাদের গলার স্বরকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের জন্য আমি আওয়াজ তুলব।
ভারতবাসী, ৩৫০০ কিমি পথ পেরিয়ে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শেষ করার পরে আমি এই চিঠি লিখছি। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত লাখো ভারতীয় আমার সঙ্গে পথ হেঁটেছেন। এটা আমার জীবনের সব থেকে সমৃদ্ধ ট্রিপ ছিল। যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তাতে আমি আপ্লুত। গোটা পথে আপনাদের সব কাহিনি আমি শুনেছি। অর্থনৈতিক দুরবস্থা, যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, দেশের সম্পদের উপর করপোরেট খবরদারি সবটাই দেখেছি।
রাহুল গান্ধী লিখেছেন, মানুষ কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। তাদের আয় কমে যাচ্ছে। নতুন ভবিষ্যতের আশা তাদের হারিয়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে চরম আশাহীনতা। আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে যখন মানুষ অসুরক্ষিত ও আতঙ্কিত অবস্থায় থাকে তখনই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণার বীজ বপন করে। কিন্তু আমার এই যাত্রার পর বুঝতে পারছি এটা একটা পাপচক্র।
আগামী ৩০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ হবে ভারত জোড়ো যাত্রা। এর আগে চিঠিতে রাহুল লিখলেন, “আমি পার্লামেন্ট থেকে রাস্তা সর্বত্র লড়াই জারি রাখব। এই পাপকে মুক্ত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে পারব সকলের জন্য, এনিয়ে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম, যুবকদের হাতে কাজ, দেশের সম্পদের বণ্টন, শিল্পোদ্যোগীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, সস্তার ডিজেল, শক্তিশালী মুদ্রা ব্যবস্থা, ৫০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার হবে।
বর্তমানে পাঞ্জাবে রয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। এই যাত্রা লুধিয়ানা, জলন্ধর, দাসুয়া, মুকেরিয়ান এলাকার উপর দিয়ে যাবে। ১৯ জানুয়ারি এই ভারত জোড়ো যাত্রার বিশাল পদযাত্রা হবে পাঠানকোটে। কাশ্মীরে প্রবেশের আগে এই ভারত জোড়ো যাত্রার বিশাল আয়োজন করা হবে পাঠানকোটে।