২০২০ সালে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সটাইল খাতে ক্রমবর্ধমান বিদেশি বিনিয়োগ, স্বল্প মজুরির শ্রমিক, তৈরি পোশাক খাত ও পাদুকাশিল্পের হাত ধরে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ হবে। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে হয়নি। দেশে তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা, ফোর্বস বলছে, এই নিম্ন মজুরির কারণে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।
ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ৫০ শতাংশ এশিয়া থেকে আসবে। প্রবৃদ্ধির হারে চলতি বছর এশিয়ায় সবার ওপর থাকতে পারে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রতিবছর কমপক্ষে ৬ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশের পরে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হতে পারে প্রতিবেশি দেশ ভারতের। তাদের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৬ সালে ভারতের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ থাকলেও চলতি বছর তা কমে যাবে।
সোনা ও রুপার খনি, ধাতু প্রক্রিয়াকরণ ও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ তাজিকিস্তান বেশ ভালো করবে এ বছর। তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে তাজিকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে ৭ দশমিক ১ ও ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, চাঙা দেশীয় চাহিদা এবং ‘শিল্প ও সেবা খাতের’ ওপর ভর করে দেশটির অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে।
এশিয়ার আরেক দেশ মিয়ানমারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত ৩ বছরে সাড়ে ৬ শতাংশের ওপর ছিল।