২০২০ সাল শেষে ৬৭ কোটি ভারতীয় করোনা আক্রান্ত হবেন বলে ধারণা করছেন দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের (নিমহ্যান্স) চিকিৎসকরা।
তার বলছেন, লকডাউন উঠে গেলেই ভারতে করোনা সংক্রমণ পুনরায় বাড়বে। সেইসঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। খবর এই সময়।
নিমহ্যান্সের ধারণা, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক করোনার শিকার হবে। বছর শেষে প্রাণঘাতী ভাইরাসে ৬৭ কোটি ভারতীয় আক্রান্ত হবেন।
ভারতের বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা, জুলাইয়ের শুরুতেই দেশটিতে করোনা সংক্রমণ শিখর পৌঁছাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জুলাইয়ের শেষ থেকেই ভারতে করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকবে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরের মতে, সেপ্টেম্বরের আগে ভারতে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছবে না।
নিমহ্যান্সের চিকিত্সকরা আরও বলেছেন, এই ৬৭ কোটি ভারতীয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশই জানতে পারবেন না তারা করোনা পজিটিভ। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সংক্রমণের বাহ্যিক কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যাবে না। মাত্র ৫ শতাংশের অবস্থা সংকটজনক হবে। তাদেরই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
হিসাব অনুযায়ী, ৬৭ কোটির ৫ শতাংশ যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলেও সংখ্যাটা গিয়ে পৌঁছাবে প্রায় তিন কোটিতে।
২০১৯ সালের মার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামীণ ভারতে মাত্র ১৬ হাজার ৬১৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ২৪X৭ ঘণ্টা পরিষেবা মেলে ৬,৭৩৩ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশতেই আবার ৪টির বেশি বেড নেই।
ফলে গ্রামীণ ভারতে করোনা সংকট কিন্তু ভয়ানক আকার নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।