মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ২০১৮ সালেই বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ওয়াশিংটনে গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে নেড প্রাইস বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।
নেড প্রাইসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শেই র্যাব সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রই র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। র্যাবের প্রশিক্ষণ, রসদ ও অস্ত্রশস্ত্র—সবই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, সেভাবেই তারা কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে নেড প্রাইস বলেন, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে র্যাবকে সহযোগিতা দেওয়া আমরা বন্ধ করে দিই।
গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান ছয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমরা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞার আগেই আমাদের সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে মানবাধিকারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে নেড প্রাইস বলেন, এটা বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশ বা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই হোক না কেন, আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়টিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রাখি।
র্যাব এবং এর ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসায় বিধিনিষেধের লক্ষ্য হচ্ছে, বাহিনীটিতে জবাবদিহি ও সংস্কার নিশ্চিতের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি অপরাধ দমনে নিজেদের সামর্থ্য, বিচারিক কার্যক্রম এবং আইনের শাসনের সুরক্ষা জোরদারের লক্ষ্যে অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।