ইমরান খানকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত কোনো মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ২ সপ্তাহের জামিনের নির্দেশে এ কথা জানিয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের ডিভিশন বেঞ্চ ইমরান খানের জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
ডন নিউজ টিভির খবরে বলা হয়, ইমরানের আইনজীবীরা আরও ৪টি আবেদন দায়ের করেছেন। ওই আবেদনে ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার বিশদ বিবরণ সরবরাহে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে শুনানি শুরু হলে জুমার নামাজের কারণে কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ‘ইমরানপন্থী’ আইনজীবীরা স্লোগান দেওয়ার পর বিচারকরা আদালত কক্ষ ছেড়ে চলে যান।
বিরতির পর স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার পর শুনানি শুরু হলে ইমরান ও তার আইনজীবী খাজা হারিস আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
হারিস আদালতে যুক্তি দেখান, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবৈধ। এনএবি কেবল তখনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে যখন মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তে পরিণত হবে।
এর আগে, আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হন ইমরান খান। কড়া নিরাপত্তায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছান তিনি।
গতকাল পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত শুক্রবার ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন।