সুস্মিতা সেন নামটার কথা মনে আসতে প্রথমেই মাথায় আসে শান্ত, সৌম্য, নম্র চরিত্রের সঙ্গে সেই প্রাণখোলা হাসি। । আজ, সেই প্রাক্তন মিস ইউনিভার্সের ৪৭তম জন্মদিন।
বরাবরই তিনি নিজের শর্তে নিজের মতো করে জীবনযাপন করেছেন। জীবনের সমস্ত ওঠাপড়া নিজের মতো করেই সামলেছেন। তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়েছে বহু পুরুষের নাম, নানান বিতর্কে জনসমক্ষে বেরিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। নাহ, তিনি রেগে যাননি, সমস্তকিছু শান্তভাবে হাসি মুখেই সামলেছেন সুস্মিতা। জনসমক্ষে রেগে যেতে তাঁকে কেউ কখনও দেখেছেন বলে মনে পড়ে না।
তবে এই সুস্মিতাই যখন তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা বলে যাচ্ছিল, তখন সেকথা শুনে যেকোনও মানুষই হয়ত রেগে আগুন হবেন। জনসমক্ষে কখনও শারিরিক হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে?
একবার এমন প্রশ্নেরই মুখোমুখি হতে হয়েছিলেন বিশ্ব সুন্দরীকে। সে প্রশ্নে সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, একবার ১৫ বছরের কিশোর তাঁকে অশালীন ভাবে স্পর্শ করেছিল। তবে সে ঘটনা তিনি যেভাবে সামাল দিয়েছিলেন, তা শুনে অবাক হতে হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘সেখানে যেহেতু অনেক পুরুষ ছিলেন, তাই ও ভেবেছিল, কে করছে আমি সেটা বুঝতে পারব না। আমি যখন ওর হাতটা ধরে ফেলি, তখন নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
ও ছোট তাই ওকে আমি তুলেই নিয়েছিলাম। এধরনের দুর্ব্যবহারের জন্য আমি ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই পারতাম। কিন্তু ও তো মাত্র ১৫ বছরের। আমি ওর ঘাড় ধরে সামনে এনে হ্যালো বলেছিলাম। ওকে নিয়ে বেশকিছুটা রাস্তা হেঁটে গিয়েছিলাম, বলেছিলাম, এটা আমাদের রাস্তা। আমি যদি কোনও ব্যবস্থা নি, তাহলে তোমার জীবন আর বাচ্চাদের মতো থাকবে না। আমি বলে, দেখো বেটা, এটা তো তুমি করেছো, সততার সঙ্গে এটা মেনে নাও।’ যখন ওই কিশোর নিজের দোষ স্বীকার করেছিলেন, তখন সুস্মিতা তাঁকে ছেড়ে দেন। বলেন, ‘তুমি জানো এজন্য তোমার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারত।’
ছেলেটি সুস্মিতাকে প্রতিশ্রুতি দেন, ও এধরনের কাজ আরও কখনও করবে না। সুস্মিতা তাঁকে বলেন, ‘যদি কখনও এধরনের কাজ করো, তখন তোমার আমার মুখটাই চোখের সামনে ভেসে উঠবে।’
সুস্মিতা সেনের কথায়, ‘এটাই হল পার্থক্য, আমি ১৫ বছর বয়সী ওই যুবককে চিহ্নিত করেছিলাম, বুঝিয়েছিলাম, এধরনের কাজ কখনও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এটা একটা বড় ভুল।’ব্যক্তিগত জীবনেও দুই দত্তক কন্যা রেনে ও আলিশাকে নিজের মতো করেই বড় করছেন সুস্মিতা।