বলিউড অভিনেতা ওম পুরি। নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন । এই লেজেন্ডারি অভিনেতার জীবনেও কেচ্ছার কোনো কমতি নেই।
বাড়ির পরিচারিকাদের সঙ্গে নিয়মিত শারিরীক সম্পর্ক রাখতেন। তাও আবার মাত্র ১৪ বছর বয়সে। এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী।
‘ওম প্রকাশ পুরী’, পরিচিতির জন্য এই নামটুকুই যথেষ্ট। তুখোড় অভিনয় দিয়ে বলিউড থেকে শুরু করে মরাঠি, পাকিস্তানি এবং হলিউডেও একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন।
বলিউড কেরিয়ার যতটা ঝকঝকে ব্যক্তিগত কেরিয়ার কি ততটা ঝকঝকে বটে? সম্প্রতি অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী নন্দিতা পুরী যা সব তথ্য প্রকাশ করেছেন তাতে হুঁশ উড়েছে অনেকেরই।
অভিনেতার জীবন কাহিনীর উপর একটা আস্ত বই-ই লিখে ফেলেছেন তিনি। আর এই বইতেই উল্লেখ আছে ওম পুরির এসব কারনামার কথা। নন্দিতার দাবি, ওমের যখন ১৪ বছর বয়স তখনই শারিরীক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। একবার নয়, তাও আবার বারবার।
বইতে এই প্রসঙ্গে বিশদ বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, সেই সময় পরিচারিকার বয়স ছিল ৫৫ বছর। নিজের চেয়ে ৪১ বছরের বড়ো এক মহিলার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন অভিনেতা।
যদিও এই বিষয়ে ওমও পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘এক জন ১৪ বছর বয়সি ছেলে ৫৫ বছর বয়সি মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে সেখানে কার দোষ বেশি? ছেলেটির না সেই মহিলার?’
জানা গেছে এই মহিলার সাথেও নাকি নিয়মিত যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হতেন ওম। অবশ্য লক্ষ্মী প্রসঙ্গে ওমের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ওমের কথায়,‘লক্ষ্মী নিঃস্বার্থ হয়ে যে ভাবে আমাকে বড় করে তুলেছেন, আমার সঙ্গে তার যেমন সম্পর্ক ছিল, তা আমার প্রতি তার দায়িত্ব এবং আনুগত্যের প্রতিদান’।
এমনকি রেখার সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে শুটিং করার সময়ও নাকি নিজের উপর থেকে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা। প্লট অনুযায়ী একটি চেয়ারের উপর শুটিং করতে বলা হয় তাদের।
কানাঘুষো শোনা যায়, শুট চলাকালীন তারা নাকি সত্যিই একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের ওজন নিতে না পারায় সেটের মধ্যে চেয়ারটি ভেঙেও যায়।
এখানেই বিতর্ক থেমে নেই, এরপর এই জল গড়িয়েছে বহুদূর। এর আগে উরি হামলার সময় সেনাদের অপমান করে তিনি বলেন, ‘জওয়ানদের সেনাদলে যুক্ত হতে কে বলেছিল? কে বলেছিল হাতে অস্ত্র তুলে নিতে?’ এছাড়াও নকশালদেরও সমর্থন করতে দেখা যায় তাকে।
অভিনেতার মতে, ‘নকশালরা আতঙ্কবাদী নন। তারা রাস্তায় বোমা ফেলে সাধারণ মানুষ বা গরিবদের ভয় দেখান না।