আরিফিন শুভ। রাষ্ট্রীয় আয়োজনে নির্মিত সিনেমায় তিনি বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ নামের সেই সিনেমা মুক্তি আগামী ১৩ অক্টোবর।
ছবির ট্রেলার ও গান ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। পাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুরূপী শুভর প্রশংসা করছেন তো আবার কারও মনে অসন্তোষ। শুভ নিজে আশ্বস্ত করলেন, ‘সবসময় কাল্পনিক চরিত্রে কাজ করেছি। রক্ত-মাংসের একজন, একটা বস্তব সত্য ঘটনায় এই প্রথম কাজ করলাম। তাও এমন একটা চরিত্র, যিনি বাঙালির কাছে প্রচণ্ড আবেগের। যারা ওনাকে বেডরুমে দেখেছেন, ডাইনিং টেবিলে দেখেছেন, গভীর রাতে-ভোর রাতে দেখেছেন, তারা এই ছবিটা দেখেছেন। এবং আমাদের সবার কাজে অত্যন্ত খুশি।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ছবির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির হয়েই কথাগুলো বলেছেন আরিফিন শুভ। নিজের বক্তব্যে সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘শ্যাম বেনেগাল (মুজিব ছবির নির্মাতা) কে, একটু খোঁজ খবর নেবেন। এই ছবিতে যদিতে যদি আমাকে পাসিং শট দিতে বলতো, কিংবা স্পটবয়ের কাজও করতে বলতো, তাও করতাম। কারণ শ্যাম বেনেগাল স্যারের সিনেমা, আর বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক, এমন সিনেমার অংশ হতে পারাই বড় ব্যাপার। আর এই ছবিতে যুক্ত হওয়ার সময় থেকেই আমি জানতাম অনেক কথা হবে, তবে আমার পক্ষে যতটা সম্ভব, যতটা সম্ভব না, সবই করার চেষ্টা করেছি।’
আরিফিন শুভ বলেন, ‘আপনারা যদি আমাদের গল্প, মানে আপনাদেরই গল্পটার ঠিকঠাক প্রচারণা করেন, মুজিবরে আর ঠেকায় কে, আর দাবায় রাখা যাবে না।’
‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কিশোর বয়সী চরিত্রে কাজ করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছবিটিতে যুক্ত হওয়ার স্মৃতি হাতড়ে তিনি বললেন, “আমাকে যখন অডিশনে ডাকা হয়, আমার বিশ্বাসই হয়নি যে ‘মুজিব’ ছবির জন্য ডাকা হয়েছে। বাবার হাত ধরে অডিশনে গিয়েছিলাম, আমি মোটেও কনফিডেন্ট ছিলাম না। তবে বাবা আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর যেদিন ফোন পাই, সেদিন বাবাকে জড়িয়ে অনেক কেঁদেছিলাম। আমার সঙ্গে বাবাও একটা চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন, কিন্তু তার সিলেকশন হয়নি। কিন্তু আমার খুশিতেই অনেক বেশি আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন।”
১৩ অক্টোবর দেশজুড়ে দেড় শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘মুজিব’। যা সাম্প্রতিক সময়ে ঢালিউডের যে কোনও ছবির জন্য রেকর্ড। এ প্রসঙ্গে পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেছেন, “আমরা মনে করি না, জোরজবরদস্তি রিলিজ করছি। হল মালিকেরাই আগ্রহী। বিশেষ করে ট্রেলার দেখার পর তারা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের ছবিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো কান্না আর আবেগ। যে ছবি দেখে দর্শক কাঁদে, সেটা হিট। ‘মুজিব’র ট্রেলার দেখে হল মালিকদের মনে হয়েছে যে, এটা দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে।”