রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেল দেওয়া ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলে ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনার জন্য সার্ডিংহাম প্যালেসে বৈঠক ডেকেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷
যুবরাজ প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস, ডিউক অব ক্যামব্রিজ প্রিন্স উইলিয়ামসহ রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সোমবারের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে, উপস্থিত থাকবেন প্রিন্স হ্যারিও৷ ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে ক্যানাডা থেকে মেগানেরও যোগ দেওয়ার কথা৷ গত বুধবার রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার পর মেগান ক্যানাডায় ছেলে আর্চির কাছে চলে যান৷ বড়দিনের আগেই হ্যারি-মেগানদম্পতি ক্যানাডায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন৷ সেখান থেকে গত সপ্তাহে তারা যুক্তরাজ্য ফিরে তাদের পরিকল্পনার কথা জানান৷
গত বুধবার এই দম্পতি তাদের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানান, আমরা রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য থাকতে চাই না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করছি। তবে রানির প্রতি আমাদের সম্মান ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
সার্ডিংহাম প্যালেস রানির ব্যক্তিগত বাড়ি৷ নাতি হ্যারির সঙ্গে সেখানেই মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রানি৷ হ্যারি-মেগানের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়া এবং উত্তর আমেরিকায় আরোও বেশি সময় কাটানোর ইচ্ছা স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য বড় ধাক্কা৷ এমনকি তারা তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে রানি বা বাবা যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে আলাপ পর্যন্ত করেননি৷ তারা ইন্সটাগ্রামে এবং নিজেদের ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দিয়ে বসেন৷ যা রানি এবং রাজপরিবারকে মর্মাহত করেছে৷
সোমবারের বৈঠকে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর রাজপরিবারের সঙ্গে তাদের নতুন সম্পর্ক কেমন হবে, তাদের ভাতা কী হবে, তারা তাদের টাইটেল রাখতে পারবেন কিনা বা ভবিষ্যতে তাদের কি কি রাজকীয় দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে সে সব বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
কেন হ্যারি ও মেগান রাজপরিবারের আয়েশি জীবন ছাড়তে চাচ্ছেন তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে৷ তার একটি কারণ হতে পারে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকা৷ গত অক্টোবরে এই দম্পতি সব সময় মিডিয়ার স্পটলাইটের নিচে তাদের ব্যক্তিগত জীবনের বেহাল দশা কথা খোলাখুলিই বলেছিলেন৷ এছাড়া তারা ‘সাসেক্স রয়্যাল’ নামে একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে চান৷