বহুমাত্রিক লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্র্রাপ্ত আসামিরা হলো- জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।
আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে আছে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। অপর আসামি হাফিজ মাহমুদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৮ বছর আগের এ ঘটনার মামলায় গত ২৭ মার্চ আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজের দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে আজ রায় হলো।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হন অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ।
এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ঘটনার পর দেশে ২২ দিন ও বিদেশে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা নেন তিনি।
একই বছরের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডি পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।