শনিবার সকালের ঘোষণা, ‘হুব্বা’ আসছে। নয়ের দশকে হুগলির ত্রাস হুব্বা শ্যামল। লোকে তাকে আড়ালে ‘দাউদ ইব্রাহিম’ ডাকত। খুন, অপহরণ, মাদক চোরাচালানের ৩০টি মামলা তার বিরুদ্ধে। জনশ্রুতি, ৭০টা মোবাইল ফোন ছিল হুব্বার। পুলিশের হাতে তিন বার গ্রেফতার হয়েও জামিন পায়।
২০১১ সালে হঠাৎ নিখোঁজ সে। অন্ধকার দুনিয়ার এই কুখ্যাত সমাজবিরোধীর জীবনে নানা স্তর। তাকেই ক্যামেরাবন্দি করে রাজনৈতিক থ্রিলার বানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। মুখ্য ভূমিকায় দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিম। সপ্তাহান্তের দ্বিতীয় দিনে প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান জানিয়েছেন, ছবিটি খুব শিগগিরিই মুক্তি পাচ্ছে।
ব্রাত্যর আগের ছবি ‘ডিকশনারি’-তেও অভিনয় করেছিলেন মোশারফ। দুই বাংলাতেই তাঁর অভিনয় প্রশংসিত। ‘হুব্বা শ্যামল’ চরিত্রে তিনিই কেন? তাঁকে কতটা মানিয়েছে?
ফিরদৌসল হাসানের কথায়, ‘‘মোশারফ করিম দুর্দান্ত অভিনেতা। সব চরিত্রেই অনায়াস। তাই তাঁকে পরিচালক বেছেছেন। পাশাপাশি, এই চরিত্রে মানাবেন বলেই তাঁকে নেওয়া। খুব ভাল অভিনয় করেছেন। বাকিটা বলবে দর্শক।’’ যে সামান্য অমিল ছিল রূপটান সেই খুঁত ঢেকে দিয়েছে। শুটিংয়ের সময় একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন পরিচালক।
২০২২-এর সেপ্টেম্বর। ওই সময় শুটিং শুরু। তার আগে মোশারফের ‘লুক’ প্রকাশ। সেই সময় পরিচালক জানিয়েছিলেন, অভিনেতার চেহারায় ছিঁচকে ভাব আর অন্ধকার দুনিয়ার প্রতিপত্তিশালী ডনের ছাপ— দুটোই দরকার। রূপসজ্জার সময় সেই দিকটাই মাথায় রেখেছিলেন রূপটান শিল্পী। ছবিতে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পৌলমী বসু, লোকনাথ দে প্রমুখ। ব্রাত্য বসুর ছবির পরেই অরিন্দম ভট্টাচার্য বানিয়েছেন রাজনৈতিক ছবি ‘শিবপুর’। ‘হু্ব্বা’ তা হলে পথপ্রদর্শক?
জবাবে প্রযোজকের যুক্তি, ‘‘শিবপুর’-এর ট্রেলার দেখিনি। পথপ্রদর্শক কিনা বলতে পারব না। সম্পর্কের গল্পের পরে পরিচালক সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের ছবি উপহার দিতে চলেছেন। ওঁর ‘ডিকশনারি’ শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম হিসেবে নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গৌতম বুদ্ধ’ পুরস্কারে সম্মান। ইতিমধ্যেই পাঁচটি ছবি বানিয়ে ফেলেছেন। ব্রাত্য বসুর উপরে সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই যখনই ভিন্ন পথে হাঁটতে চেয়েছেন এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছি।’’