ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন।
আজ সোমবার বিকেলে বনানীর একটি কেন্দ্রের বাইরে হিরো আলমের ওপর হামলার পর এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, হিরো আলম এখানে এসেছিলেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তাঁকে মারধর করা হয়নি। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে বের করে দিয়েছে। বাইরে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে কি না, তা তাঁরা জানেন না। ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিকাল ৩টার পর রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। এ সময় হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। তবে এ বিষয়ে এখনো সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম ছিল।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নানা কারণে দেশবাসীর মনোযোগ কেড়েছে। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির (জাপা) সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও মো. তারিকুল ইসলাম।