সরকারি স্কুলে মুসলিম ছাত্রীদের আবায়া পরা নিষিদ্ধ করতে চলেছে ফ্রান্স। এর ফলে ফ্রান্স সরকার পরিচালিত স্কুলগুলোতে মেয়ে শিক্ষার্থীরা পুরো শরীর ডেকে রাখা ঢিলেঢালা এই পোশাক আর পরতে পারবেন না। রোববার (২৭ আগস্ট) ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ফ্রান্সে নতুন স্কুল মৌসুম শুরু হতে চলেছে এবং এর মাত্র কয়েকদিন আগে এই ঘোষণা দেওয়া হলো। সোমবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফ্রান্স এর আগে ২০০৪ সালে স্কুলে মাথার স্কার্ফ বা হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করেছিল এবং ২০১০ সালে জনসমক্ষে পুরো মুখের পর্দার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলিম রয়েছেন এবং এই ধরনের সিদ্ধান্ত এর আগে পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটির শক্তিশালী এই সম্প্রদায়ের বহু মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল।
এবার আবায়া নিষিদ্ধের বিষয়ে ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী গ্যাবরিয়েল আতাল একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আবায়া কোনও স্কুলে পরে যাওয়া যাবে না। কারণ আপনি যখন শ্রেণিকক্ষে যাবেন তখন শিশুদের দেখেই ধর্ম শনাক্ত করতে পারবেন না।’
গত কয়েক মাস ধরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে তর্কবিতর্ক চলছিল বিভিন্ন মহলে। এ নিয়ে কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। তবে বামপন্থিরা বলছে, এমন সিদ্ধান্তে নাগরিক স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করবে।
এদিকে কয়েকটি মুসলিম সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় সংস্থা ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) জানিয়েছে, পোশাক পরা ‘কোনও ধর্মীয় প্রতীক হতে পারে না।’