হাসিনা-মোদি বৈঠক: সাত সমঝোতা স্মারক সই
বিদ্যুৎ, রেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঢাকাকে সহযোগিতার বার্তা দিল্লির
নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উভয় নেতার এই বৈঠক শেষ হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহার নিয়ে সমঝোতা। এছাড়া দুই দেশের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, উভয় দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে সমঝোতা, রেলের আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন-সঙ্গী এবং বাণিজ্যিক অংশীদার বলে উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতি দিন উন্নত হচ্ছে।’’ এর পরই বাংলাদেশকে ভারত কোন কোন বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে, তার ঘোষণা করেন মোদী।দুই রাষ্ট্রনায়কের সই করা সাতটি চুক্তির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল প্ল্যান্ট’। বাংলাদেশকে তাদের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির ব্যাপারে আশ্বাস দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বাংলাদেশের নদী কুশিয়ারার জলবণ্টন নিয়েও ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মউ স্বাক্ষর হয়েছে’ বলে ঘোষণা করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি, তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দু’দেশ পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলব।’’
হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠক হয় দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর। তার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনে দাঁড়িয়ে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন হাসিনা। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘বন্ধুত্বের মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব।’’ ভারত এবং বাংলাদেশের সামনে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। গরু পাচার, তিস্তা জলবণ্টন-সহ রোহিঙ্গা সমস্যার মতো একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। হাসিনা অবশ্য বলেছেন, ‘‘দারিদ্রই আমাদের মূল সমস্যা। অর্থনৈতিক ভাবে আমরা ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।’’বৈঠকের পরও ভারতকে বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ দেন হাসিনা।