The news is by your side.

হামাসের টানেলে মজুদ কয়েক মাসের যুদ্ধ সরঞ্জাম

0 124

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার মধ্যে লড়াই অব্যাহত রাখতে পারবে কি হামাসএমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। গাজায় পানি খাবারের তীব্র সংকটে টিকে থাকতে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনটির রয়েছে পর্যাপ্ত খাবার নিত্যপণ্যের মজুত। বছরের পর বছর ধরে তারা গাজার ভূগর্ভে মাইলের পর মাইল টানেল বা সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেছেন। যুদ্ধে টিকে থাকতে কার্যত সেখানে সবকিছু মজুত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। আরব ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রকেট যানবাহনের জন্য হামাসের কাছে লাখ লাখ গ্যালন জ্বালানি তেল রয়েছে। বিস্ফোরক, দাহ্য পদার্থ অন্যান্য জিনিসপত্র আছে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত খাবার, পানি ওষুধ মজুত রেখেছে তারা। লেবাননের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গাজায় হামাস সদস্যের সংখ্যা আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ হাজার। কোনো ধরনের সরবরাহ না থাকলেও তারা তিন থেকে চার মাস যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবেন।

গত অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১৪ শতাধিক ইসরায়েলি মারা যায়। সময় হামাস দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে যায়। এদের মধ্য থেকে মুক্তি পাওয়া এক নারী জানান, তাঁকে ওষুধ, শ্যাম্পু প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরব পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্রের মজুত রাখা হয় সুড়ঙ্গের ভেতরেই। তবে হামাসের কাছে প্রকৃতপক্ষে কী কী আছে, সেসব পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তারা।

মার্কিন গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ২০ লাখের বেশি মানুষ পানি খাবারের চরম সংকটে পড়েছেন। কিন্তু এতে হামাস কোনো ধরনের সংকটে পড়েছে বলে মনে হয় না। কারণ, তাদের লড়াইয়ের ক্ষমতায় কোনো ধরনের কমতি দেখা যাচ্ছে না। সর্বাত্মক অবরোধ জারি করার পরও পর্যন্ত ইসরায়েলে কয়েকশ রকেট ছুড়েছে হামাস।

হামাসের হামলার পর গাজায় খাদ্য, বিদ্যুৎ, পানি জ্বালানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এতে চরম দুরবস্থা সৃষ্টি হয় গাজা উপত্যকায়। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হতে থাকে; পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক ওভেনসহ নানা প্রয়োজন মেটানো দুরূহ হয়ে পড়ে। উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা প্রদানে সমন্বয়কের ভূমিকা পালনকারী জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার বলেছে, তাদের জ্বালানি সরবরাহ ফুরিয়ে আসছে। এতে উল্লেখযোগ্য হারে তাদের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘেরউচিত হবে হামাসের কাছ থেকে জ্বালানি নেওয়া।

দৃশ্যত হামাসের শক্তিমত্তার কারণেই পশ্চিমা কূটনীতিকরা ইসরায়েলকে এখনই গাজায় সর্বাত্মক হামলার দিকে দ্রুত অগ্রসর না হয়ে বরং ধীরেসুস্থে পা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজায় স্থল অভিযান চালালে নগরযুদ্ধ শুরু হতে পারে। তাতে ইসরায়েল  ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.