The news is by your side.

 ‘হাউডি মোদী’, ‘নমস্তে ট্রাম্প’ চিত্রনাট্যের তৃতীয় অঙ্ক নিউ ইয়র্কে!

0 110

 

২০১৯-এ  ‘হাউডি মোদী’ ,  ২০২০-র ‘নমস্তে ট্রাম্প’-এর পর এ বার দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক চিত্রনাট্যের তৃতীয় অঙ্ক তৈরি হতে চলেছে নিউ ইয়র্কে। ভোটের মুখে দাঁড়ানো আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিশিগানের ক্লিন্টে একটি নির্বাচনী সভায় দাবি করলেন, তাঁর সঙ্গে আগামী সপ্তাহেই দেখা হতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যদিও এখনও পর্যন্ত মোদীর আসন্ন আমেরিকা সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি বিদেশ মন্ত্রক।

নিজের দেশে ভোটের আগে মোদীর সঙ্গে দেখা করে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে চাইবেন ট্রাম্প, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে নয়াদিল্লির কী কূটনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

বিদেশ মন্ত্রকের একাংশের দাবি, এ বারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা বেশি। তাই আগাম একটি সৌজন্যের ভিত তৈরি করে পুরনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নিতে চাইবেন মোদী। বাইডেন জমানায় আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ক্ষেত্রে চোখে পড়ার মতো উন্নতি দেখা যায়নি বরং বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি বিরোধাভাসই নজরে এসেছে। প্রসঙ্গত, টেক্সাস এবং গান্ধীনগরে যথাক্রমে ‘হাউডি মোদী’ এবং ‘নমস্তে ট্রাম্প’ মেগা ইভেন্টদ্বয়ের সময় ট্রাম্পই ছিলেন প্রেসিডেন্ট পদে।

আবার কূটনীতিকদের অন্য অংশের মতে, বেশ কিছু জনমতসমীক্ষা ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী তায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকেও এগিয়ে রাখছে। সে ক্ষেত্রে আগেভাগে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার যৌক্তিকতা কতখানি, সে প্রশ্নও থাকছে।

মোদীকে নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “মোদী একজন দুর্দান্ত মানুষ৷ আমার দেখা একাধিক চমৎকার নেতাদের মধ্যে একজন তিনি। আগামী সপ্তাহে আমাদের দেখা হতে পারে। সে দেশের মানুষ বুদ্ধিমান। তারা কোনও ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। বরং শীর্ষে রয়েছে। ভারত বেশ শক্তিশালী দেশ।” তবে সেই সঙ্গে নয়াদিল্লির সমালোচনাও করে তিনি বলেন, “ভারত আমদানি শুল্কের খুবই অপব্যবহার করে থাকে।”

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তিন দিনের আমেরিকা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম দিনই ডেলাওয়ারে চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াড-এর বৈঠকে যোগ দেবেন। ভারত ছাড়া আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া এই অক্ষের শরিক। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরেই চিনের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করে আসছে কোয়াড।

আমেরিকার ভোটের ফলাফল যাই হোক, বাইডেন দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন না। ফলে এটি তাঁর কোয়াড বৈঠকে শেষ প্রতিনিধিত্ব। আগামী বছর নয়াদিল্লিতে যখন কোয়াডের বৈঠক বসবে, তখন তাতে যোগ দেবেন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট।

২২ তারিখ নিউ ইয়র্কে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় যোগ দেবেন মোদী। পরের দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলন চলাকালীন ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তৃতা দেবেন মোদী। কথা বলবেন আমেরিকার শীর্ষ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির সিইও-দের সঙ্গে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.