গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসাম পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের পহেলা জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় দুইজন পুলিশ সদস্যসহ ২২ জন নিহত হন। অভিযানে পাঁচ জঙ্গিও নিহত হয়।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশি নাগরিক।
গত ৬ নভেম্বর এ মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
গত ২৩ জুলাই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।
একই বছর ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে গতবছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলার বিচার শুরু হয়।
আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং দুজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।
এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দানের সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। যার মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন হলি আর্টিজানেই নিহত হন। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ছাড়া মামলা থেকে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যাকে ওই হামলার পর কমান্ডো অভিযান শেষে উদ্ধার হওয়া অন্যদের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
গুলশানের হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত পাঁচজন হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত ৮ জন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।