গত বছরের তুলনায় চলতি বছর (২০২৩ সাল) হজের খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়। গত বছরের তুলনায় এবছর ৩০ শতাংশ কমানো হতে পারে এই খরচ।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ডক্টর আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ জানিয়েছেন, এবার করোনা ভাইরাসের কারণে কোনো বাধা ও নিয়ম-কানুন না থাকায় ‘ইকোনোমিক হজ প্যাকেজের’ প্রায় ৯০ ভাগ ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।
সহকারী সচিব আল মাদ্দাহ জানান, সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ যে হজ প্যাকেজগুলো রয়েছে সেগুলো কোম্পানির সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। হজ ক্যাম্পে সেবার মান দেখে এটি নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে, গত সপ্তাহে সৌদির হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দেশটির স্থানীয় মুসল্লিরা চাইলে তিন ভাগে হজ প্যাকেজের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। আগে পুরো অর্থ একসঙ্গে পরিশোধের নিয়ম ছিল।
এ জন্য হজ পালনে আগ্রহীদের আগে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাছাই করা প্যাকেজের ২০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করে নিজের স্থান নিশ্চিত করতে হবে। এরপরের ৪০ শতাংশ অর্থ ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ও শেষ ৪০ শতাংশ অর্থ ২৩ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়া যাবে।
প্রতিটি কিস্তির অর্থ পাওয়ার পর একটি করে রসিদ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধের পর হজ প্যাকেজটি নিবন্ধন করা মুসল্লির জন্য নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায় নিবন্ধনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, চলতি বছর সৌদির অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের জন্য ফি ধরা হয়েছে ন্যূনতম ৩ হাজার ৯৮৪ রিয়াল থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮৪১ রিয়াল। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ন্যূনতম ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৮ টাকা।
মূলত হজকালীন আবাসন, যাতায়াত ও অন্যান্য বিভিন্ন সেবা বাবদ ধার্য করা হয়েছে এসব ফি।