সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হচ্ছে । রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ’র (বিআরটিএ) দুর্বলতায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং এ আইন বাস্তবায়নে নতুন করে চার সচিবের নেতৃত্বে চারটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যোগাগাযোগ সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, তথ্য সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে চারটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের পরিকল্পনা ও সুপারিশ আমাদের জানাবেন। এবং তারপর আবার আমাদের (টাস্কফোর্সের) বৈঠক হবে।আগামী দুই মাসের মধ্যে সুপারিশ ও অ্যাকশন প্লানসহ প্রতিবেদন জমা দেবে এসব কমিটি। পরে টাস্কফোর্স কমিটির সভায় তা উপস্থাপনের পর আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়কের নিরাপত্তা আনতে ১১১ সুপারিশ বাস্তবায়নে এ কমিটি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিআরটিএয়েকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এ খাতে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শাহজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশ নিয়ে আমরা এখনো কাজ শুরু করেনি। এই টাস্কফোর্স গঠনের গেজেট হয়েছে গত ১৬ অক্টোবর। আমাদের বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নে কিছু দুর্বলতা রয়েছে এবং বিআরটিএ এখনো সেগুলো রিনিউ করতে পারেনি। তিনি বলেন, যানবাহনে ত্রুটি থাকলে বিআরটিএর মাধ্যমে জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে।
নতুন সড়ক আইনে মৃত্যুদণ্ডের কথা লেখা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নতুন সড়ক আইনে ফাঁসির কোনও কথা নেই। মিথ্যা প্রচার চালকদের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। সেজন্য তথ্য সচিব কাজ করবেন। আইনে কত বছর সাজা হবে ও সর্বোচ্চ কত টাকা জরিমানা হবে সেটি লেখা হয়েছে, সেটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। তবে আইন অনুযায়ী কি শাস্তি বা অর্থদণ্ড হবে সেটা বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন।